পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বিতৃষ্ণিত

রোদ ঝলমলে সকালে তখন দশটা ছুঁইছুঁই। নৈহাটির লঞ্চঘাটের কাছে স্নানের যে ঘাটটা আছে তার কাছে একটা ধাবার ওপর বসে সুনু আনমনে তাকিয়ে দূরে ভেসে চলা একটা বোটের দিকে। সামনে কলকল করে গঙ্গা বয়ে চলে, ডুগ-ডুগ করে লঞ্চ ছাড়ে, ফটাস-ফটাস শব্দে ধোপারা কাপড়গুলো আছাড় মারে, দু-তিনটে বাচ্চা ছেলে জল একবার ঝাঁপ দেয়, আবার পাড়ে ওঠে, কয়েকজন মহিলা পাশে থুপে থুপে কাপড় কাচতে থাকে আর তার সাবান ফেনা জমা হয়ে পাড়টা যেন দাঁত বের করে হাসে। বেশ কিছু লোক গঙ্গাজল নিতে এসেছে। হৈ-হুল্লোড়ে চারিদিক মাতোয়ারা। তবু সুনুর এসবে ভ্রূক্ষেপ নেই। ও তাকিয়ে সিল্যুয়েট ছবির মত দূরের ঐ বোটটার দিকে। একাকী ভেসে যাচ্ছে ওটা দূরে, আরও দূরে। মোবাইলটা হঠাৎই বেজে ওঠে টুংটাং। ফোনটা পকেট থেকে বের করে, হ্যাঁ দীপ, বল। এই ধর, সাড়ে দশটা নাগাদ। আরে ছাড় তো, ফাটাফাটি না আরও কিছু, রেজাল্ট ভালো হবে না রে। আচ্ছা, ঠিক আছে। ওকে, বাই। ফোনটা কেটে দিয়ে সুনু ফিরে যায় আবার আগের জগতে।
সুনুর ভালো নাম সুপর্ণ। সুপর্ণ চ্যাটার্জী। বরাবরই ‘ভাল ছেলে’ বলে পাড়া-বন্ধু-আত্মীয় সার্কেলে মান পেলেও মাধ্যমিকের নাইন্টি পার্সেন্টের পর সেটা ‘খুব ভালো ছেলে’ হয়ে যায়। আর শুধু পড়াশুনোই বা কেন! ছবি আঁকারও হাত তার ভালো। এই তো সেদিন আকাদেমী অফ ফাইন আর্টসে তার ছবি শো হয়েছে। আগেও এমন হয়েছে। সেদিক থেকেই বা কম কিসে? আর সেখানে তার আশেপাশের সবাই প্রায় মিডিওকার। তাই তাদের কাছে সুনুর ইমেজই আলাদা। কিন্তু সেই ইমেজে হয়ত এবার একটা বড় আঘাত পড়বে। একটা ক্ষতির আশঙ্কা তার সামনে বার বার ফিরে ফিরে আসে। আজ ওর এইচ এসের রেজাল্ট। কিন্তু সে খুব ভালো করেই জানে রেজাল্ট তার কোনোমতেই ভাল হবে না। আর হবেই বা কি করে? গত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি – পাক্কা তিনটে মাস যে কেটেছে তার টাইফয়েডে। তারপরেও ছিল দুর্বলতা। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা, গাফিলতিতে রোগ সারতে অনেক সময় লেগে গেছে। পড়াশুনা প্রায় কিছুই হয়নি এবার। তাই একবার সে ভেবেছিল ড্রপ দেবে। কিন্তু বাবার কড়া হুকুম, ওসব ড্রপ-ফপের ব্যাপারে ভাবিস না। কোন চিন্তা না করে পড়াশুনো চালিয়ে যা। রেজাল্ট ঠিক ভাল হবে। মায়েরও মত, বাবা যা বলছে, তাই শোন। এখন ড্রপ দিলে লোককে কি বলবো বল তো? অগত্যা তাই হল। পরীক্ষা দেওয়া হল। কিন্তু সুনু বেশ ভালোভাবেই জানে, রেজাল্ট তার ভাল হবে না। সামনের জগতটা তার পুরো অনিশ্চিত।
বেলা এগারোটা। স্কুলের মস্ত বটগাছের গোড়ায় সুনুর কাউন্টডাউন চলে। সামনে দীপ, রাহুলদের ‘কি হবে, কেমন হবে’ গুনগুনানি। সুনুর ভাল লাগে না এসব। সে এখন চায় একটু একাকীত্ব। হিসাব করে নিতে চায়, সেভেন্টি-ফাইভ পার্সেন্ট তার থাকবে তো? নাঃ, ম্যাথসটা খারাপই হয়েছে। তবে সেভেন্টি পার্সেন্টটা আশা করাই যায়। ফিজিক্সটা যদি একটু লুস করে খাতা দেখে, সেভেন্টি পার্সেন্টের নিচে নামার তো কথা নয়। কিন্তু সেটা পেলেও সে বাড়িতে বলবে কি করে? মা, বাবা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজন পাড়া প্রতিবেশী সবাই তো গিলে খেতে আসবে। অনেকে হাসাহাসি করবে। অস্থির হয়ে ওঠে মনটা। চোখ পড়ে কিছুটা দূরে রজত-অর্ণব-শুভ্রদের দিকে। ওরা বেশ হাসি-ঠাট্টা-তামাশায় চনমনে। সুনু অবাক হয়ে যায়। সে যেখানে সেভেন্টি পার্সেন্ট নিয়ে ভাবছে, ওরা তো পাশ করবে কিনা সন্দেহ। তবে কিভাবে থাকে ওরা অত ফুর্তিতে? ওদের দেখে একটু যেন কনফিডেন্স পায় সুনু। মনে মনে বলে, সুনু ভাল ছেলে। রেজাল্ট খারাপ হবে কেন? কিসবে যা তা ভাবছে সে? ইতিমধ্যে ঘণ্টা পড়ে। ছাত্রদের ভিড়টা ঠেলে ক্লার্ককে অফিস-রুম থেকে বেরোতে দেখা যায়। হাতে বিরাট গেজেট পেপার। রোল নম্বর আর পার্সেন্টেজ লেখা পেপার সেঁটে দিতেই মাছির মত ভনভন করে সাদা-কালো ড্রেসে ছেলেরা। সুনুর বুকটা ঢিপঢিপ করে। লিস্ট দেখে কেউ কেউ বেরিয়ে আসছে, ‘ইয়েস’ শব্দে। বত্রিশটা দাঁত বের করে। আর কেউ কেউ বা ঠোঁট উলটে শুধু ‘হল না রে’। সুনুও ইতিমধ্যে জায়গা করে নিয়েছে ভিড়ের মধ্যে। বুকের ভেতর দমাস দমাস করে বাজছে। নিজের রোলটা দ্রুত খুঁজতে থাকে সুনু। হঠাৎই থমকে যায় সে। একি! এ কি করে সম্ভব? এটা তো তারই রোল নাম্বার। তবে...মাত্র ফরটি সিক্স পার্সেন্ট? এত পুওর মার্কস? ঠিক দেখছে ত সে? আবার মেলায় নিজের রোল নম্বর। হ্যাঁ, ঠিকই আছে। আর কিছু ভাবার ক্ষমতা থাকে না সুনুর। দ্রুত বেরিয়ে আসে সে ভিড় ছেড়ে। স্কুল কম্পাউণ্ড ছেড়ে আনমনে বেরিয়ে আসে রাস্তায়। মনে হয় যেন ছুটে চলে যায় অন্য কোথাও। ‘আরে ভাই! অ্যাকসিডেন্ট করবে নাকি? দেখে চলো’। ক্যাঁচ করে ব্রেক কষে ঝাঁঝিয়ে ওঠে মোটরসাইকেল ওয়ালা। ‘ওঃ, সরি’। বলে কপালটা ডলতে থাকে সুনু। যন্ত্রণা করছে বড্ড। পেটে একটা চিনচিনে ব্যথা। ‘আরে সুপর্ণ, রেজাল্ট কেমন হল ভাই?’ – পাশ থেকে কে যেন বলে ওঠে। ‘ভালো না’ – বলে দ্রুত সরে যায় সুনু। স্কুলের ভেতরে ঢুকে রেজাল্ট তোলার পালা। এরপরেও কত কারুর সাথে দেখা হল, কতজন তাকে কতকিছু বলল। সেসব কিচ্ছু মনে নেই সুনুর। সে শুধু এইটুকুই জানে যে সবাই তার রেজাল্ট জানতে চায়। সবার এক প্রশ্ন – কেমন হয়েছে? স্কুলেতে বন্ধুরা, বাড়িতে পৌছলে মা, বাবা, টেলিফোনে পিসি, মাসি, কাকা, মামা ...আরও শতকোটি আত্মীয়স্বজন। সবাই তাকে শুধু একটাই প্রশ্ন করে...কেমন হয়েছে? ওর মনে হতে থাকে এটা যেন কোন প্রশ্ন নয়। এটা বরং একটা পরিহাস। সবাই তাকে নিয়ে ঠাট্টা করছে। ওর রেজাল্ট জেনেই সবাই একটা চাপা হাসি হাসছে। কেউ তো তাকে বুঝছে না। সবাই এটুকুই বুঝছে সুনুর দৌড় শেষ। ও পিছিয়ে পড়েছে। মুহূর্তে সারাটা জগতটা তার প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায়। সে একা। সুখের দিনে যাদের সে পাশে পেয়েছিল তারা এখন আর কেউ নেই। সে যে হেরে গেছে। ‘কারুর সামনে আর মুখ দেখানো যাবে না, ছিঃ’, মায়ের মন্তব্য। বাবার হাহুতাশ, হায় রে! কে করবি এরপর? কিস্যু হবে না তোর দ্বারা। সামনের সমস্তটা অন্ধকার হয়ে আসে সুনুর। সে দিন, সে রাতটা কাটে। সারাক্ষণ সুনু তার নিজের ঘরে একলা। পরদিনও তেমনি। সে দিন বিকেল যখন ছুঁইছুঁই, ওকে জামা-প্যান্ট পরতে দেখে মা গম্ভীরভাবে বলে, কোথাও যাবি? সুনু ‘হুঁ, বাইরে একটু ঘুরতে যাব’ – বলে বাড়ি থেকে বেরোয়। দরজাটা বন্ধ হয় সশব্দে।
সুনুর বাবা অজিতেশের অফিসে প্রচুর কাজের চাপ। তাই বাড়ি ফিরতে এখন বেশ রাত হয়। রাত আটটায় অফিস থেকে বেরোবার পরে মোবাইলটা অন করে। দশ সেকেন্ডের মধ্যেই বেজে ওঠে – কলিং গার্গী। গার্গী তার স্ত্রী। ফোন তুলতেই গার্গীর টেনশন একেবারে ফেটে পড়ে। ‘কি হল কি? ফোনটা সুইচ অফ করে রেখেছিলে কেন?’ অজিতেশ বোঝায়, মিটিং চলছিলো। তাই...’ কথা শেষ করতে দেয় না গার্গী। যেন আর্তনাদ করে বলে, ছেলে এখনও বাড়ি ফেরেনি জানো। অজিতেশ বিহ্বল হয়ে পড়ে।, কি! কি বলছ কি তুমি? কোথায় গেছে? গার্গী কঁকিয়ে ওঠে, জানি না, সেই চারটের সময় বেরিয়েছে। কোনদিন তো এমন দেরী করে না। আমায় না জানিয়ে কোথাও যায় না। কি হল আমার ছেলের? হু হু করে কেঁদে ওঠে গার্গী। অজিতেশ টেন্সড গলায় সান্ত্বনা দিতে চায়, তুমি কিচ্ছু চিন্তা কোরো না। আমি এখুনিই বাড়ি যাচ্ছি। কথাগুলো কোনরকমে বলে যান্ত্রিকভাবে ফোনটা কেটে দেয় অজিতেশ। হাঁটতে হাঁটতে দেখে সামনেই চাকদা স্টেশন। ট্রেন ঢুকছে। ট্রেনে উঠে জানালার ধারে মাথাটাকে এলিয়ে বসে অজিতেশ। চলমান বাইরের দিকে তার দৃষ্টি স্থির, দেহটা স্থবির। মন প্রায় অচল। তবু ভেবে চলেছে আর কতক্ষণে নৈহাটি আসবে? ট্রেন সঙ্গী সুজনদা ফটাস ফটাস করে তাসগুলো পিটিয়ে সামনে ছাড়তে ছাড়তে অজিতেশকে বলে, কি অজিতদা? আজ কি হল? খেলবেন না? এই ধরুন। বলে তাসের একটা বাণ্ডিল এগিয়ে দেয় অজিতেশের দিকে। অজিতেশ মাথাটুকু নাড়িয়ে শুষ্কমুখে বলে, না ভাই। আজ আর না। সুজনদা অবাক হয়। সে কি শরীর খারাপ? কিন্তু অজিতেশ তখন সম্পূর্ণ অন্য জগতে। ছেলের মুখটা তার মনে পড়ে বারবার। অন্যদিনগুলোয় কি প্রাণখোলা থাকে ছেলেটা। কাল একবারে মুষড়ে পড়েছিল। রাগের মাথায় যা মনে এসেছে তাই ওকে বলেছিল অজিতেশ। আজ সেসব মনে করে চূড়ান্ত আক্ষেপ হয় তার। ইচ্ছে করে, জোর গলায় ডাকি। ফিরে আয় বাবা। মা-বাবাকে আর কষ্ট দিস না। ফিরে আয়। কিন্তু আর তাকে ভাবতে দিল না ট্রেনটা। হঠাৎ ব্রেক কষায় একটা প্রচণ্ড জার্কিং হল। আর তক্ষুণি সবাই, গেল, গেল। সব শেষ। সর্বনাশ’ বলতে বলতে চীৎকার চেঁচামেচিতে করতে লাগলো। কেউ কেউ লাফ মেরে নামছে। কেউ বা জানালা থেকে উঁকি মারছে। জায়গাটা খুব একটা অন্ধকার নয়। তার ওপর পূর্ণিমার আলোয় সবই দেখা যায়। ব্যস্ততার মুহূর্তে অজিতেশ উঠে দেখতে গেল কি ব্যাপার। সামনে যাকে পেল তাকেই জিগ্যেস করল, কি হয়েছে? কি হল ভাই? একজন জানাল, একটা ছেলে নাকি এই ট্রেনে কাটা পড়েছে। ‘অ্যাঁ, কি বলছ কি?’ চীৎকার করে ওঠে অজিতেশ। মন বলতে থাকে ছেলে বাড়ি ফেরেনি। আর তার সামনে এই অ্যাকসিডেন্ট। এর মধ্যে কি তবে কোনো সম্বন্ধ আছে? ---ভাবতে আর পারল না সে। চারিপাশটা যেন গুলিয়ে উঠছে। ধপ করে পড়ে যায় সে। কিন্তু তার আগেই তাকে ধরে ফেলে বন্ধু সুজনদা।
গঙ্গার সেই ঘাট। লঞ্চ জেটির কাছে বড় গ্যাসের আলো জ্বলছে। তাতেই চারিপাশ আলোয় ঝলমলে। মাঝ নদীতে একটা লঞ্চ ডুগডুগ আওয়াজে এ পাড়ে আসছে। একটা উজ্জ্বল আলো তার মাথায়। দোকানপাট অর্ধেক বন্ধ। বাকীগুলোও হব হব করছে। ঘাটের একেবারে প্রান্তে নদীর ঠাণ্ডা জলে পা ডুবিয়ে সুনু আজকের সারাটা দিনের ঘটনাগুলো ভেবে চলেছে একের পর এক। নদীর ছলাৎ ছলাৎ কলতানের সাথে যেন ওগুলো বেশ মানানসই। রেজাল্ট খারাপ হওয়ার ধাক্কা সহ্য করতে পারেনি সে। চারিপাশের চাপে জীবনটাকে অর্থহীন বলে মনে হয়েছিল তার। অনেক ভেবেছিল সে এই নিয়ে গঙ্গার এই ঘাটেই। কি হবে তার বেঁচে থেকে। কেউ তো তাকে চায় না। সবাই চায় তার রেজাল্ট। তাই ঠিক করেছিল ট্রেনের চাকার তলায় সে নিজেকে শেষ করে দেবে। কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেল। একটা ছেলে। তারই মতো বয়স কি একটু বেশি। রিস্ক নিয়ে রেললাইন পার হতে গেল। হয়তো তাড়া ছিল। সামনে ট্রেন। পিছলে গেল ছেলেটা রেল ট্র্যাকে। আর ওঠারও সময় পায়নি সে। শুধু হাতটাকে একবার তুলেছিল মাত্র। হয়ত ওটাই ছিল ওর বাঁচার শেষ আর্তি। তারপর সব শেষ। সবটাই মুহূর্তে ঘটে গেল সুনুর সামনে। ও বিহ্বল হয়ে পড়েছিল এসবে। তারপর...ওঃ! সে কি রক্ত! আর ভাবতে পারা যায় না। মৃত্যু যে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ধারণায় ছিল না। সে তো কিছুক্ষণ আগেও এই মৃত্যুকেই কাছে ডেকেছিল। না, আর থাকতে পারে নি সে ওখানে। ছুটে চলে এসেছিল এ ঘাটে। নাঃ, বড় বীভৎস ঐ মৃত্যু – মনে মনে বলে সুনু। ভাবতেই গা গুলিয়ে ওঠে ওর। বমি বমি ভাব আসে। একটু জিরিয়ে নেয় সে। তারপর এই নদী, লঞ্চ, দোকানপাট, ঐ কুকুরটা, এই জীবনটা – সবটাকে সে দেখে নেয় প্রাণভরে। যেন কতদিন পরে সে দেখছে এ সব কিছু। একরাশ ঠাণ্ডা হাওয়া নদী থেকে বয়ে আসে, সুনুকে ভরিয়ে তোলে নতুন প্রাণস্পন্দনে। হঠাৎ সম্বিত ফেরে তার – বাড়ি ফিরতে হবে তাকে। মনে পড়ে মায়ের কথা, বাবার কথা। তারা কি দুশ্চিন্তাই না করছে তাকে নিয়ে! বাড়ির দিকে রওনা হতে যায় সে। এমন সময় একটা পরিচিত গলায় ডাক আসে – ‘সুনু’।
প্রকাশিত - এপার বাংলা ওপার বাংলা (বই) 

                                                                                              -প্রজীতা। 

কোন মন্তব্য নেই: